রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১
বাংলাদেশ গেজেট
অতিরিক্ত সংখ্যা
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত
সোমবার, অক্টোবর ১, ২০১৮
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
ঢাকা, ১৬ আশি^ন, ১৪২৫/০১ অক্টোবর, ২০১৮
সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিমড়বলিখিত আইনটি ১৬ আশি^ন, ১৪২৫ মোতাবেক ০১ অক্টোবর, ২০১৮
তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতিলাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা
যাইতেছে :
২০১৮ সনের ৪০ নং আইন
সার (ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৬ নং আইন) এর অধিকতর
সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু নিমড়ববর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে সার (ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের
৬ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়:
সেহেতু এতদ্দ¦ারা নিমড়বরূপ আইন করা হইল:
(১) এই আইন সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন,১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন।
২০১৮ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
সার (ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০০৬২। ২০০৬ সনের ৬ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন।
(২০০৬ সনের ৬ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ২ এর
(ক) দফা (২) এ উল্লিখিত “এক বা একাধিক উপাদান” শব্দগুলির পরিবর্তে “এক বা
একাধিক পুষ্টি উপাদান” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবেঙ
(খ) দফা (২০) এ উল্লিখিত “মিশ্রসার বা গরীবফ ঋবৎঃরষরুবৎ” শব্দগুলির পরিবর্তে “মিশ্র
সুষম সার বা গরীবফ ইধষধহপবফ ঋবৎঃরষরুবৎ” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
(১২০৬৯)
মূল্য : টাকা ৪.০০
১২০৭০ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১, ২০১৮
উক্ত আইনের ধারা ৪ এর৩। ২০০৬ সনের ৬ নং আইনের ধারা ৪ এর সংশোধন।
(ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “১৫ (পনের)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দের পরিবর্তে “১৭
(সতেরো)” সংখ্যা , বন্ধনী ও শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবেঙ
(খ) উপ-ধারা (২) এর দফা (খ) এর পরিবর্তে নিমড়বরূপ দফা (খ) প্রতিস্থাপিত হইবে,
যথা:
“(খ) মান নির্ধারণ করা হয় নাই এইরূপ নূতন রাসায়নিক সার, জৈব সার, জীবাণু
সার (ইরড়-ভবৎঃরষরুবৎ), মিশ্র সুষম সার, যৌগিক সার, সয়েল কন্ডিশনার বা
অ্যামেন্ডমেন্ট এবং উদ্ভিদ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক বা উদ্দীপক (চষধহঃ এৎড়ঃিয
জবমঁষধঃড়ৎ ড়ৎ ঝঃরসঁষধহঃ) এর গবেষণাগার ও মাঠ বা শস্য পর্যায়ে পরীক্ষা
পরিচালনা এবং এই সকল পরীক্ষার ফলাফল বা পরিবেশের উপর উহার
প্রতিপিয়া পর্যালোচনাপূর্বক দেশে উক্ত সামগ্রীর উৎপাদন, আমদানি, বিপণন ও
ব্যবহার অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ পেশকরণঙ”।
উক্ত আইনের ধারা ৮ এর উপধারা৪। ২০০৬ সনের ৬ নং আইনের ধারা ৮ এর সংশোধন।
(২) এ উল্লিখিত “ছয় মাসের সশ্রম কারাদ- বা অনূর্ধ্ব ত্রিশ হাজার” শব্দগুলির পরিবর্তে “দুই
বৎসর সশ্রম কারাদ- বা অনূর্ধ্ব পাঁচ লক্ষ” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবেঙ
উক্ত আইনের ধারা ১৪ এর উপধারা৫। ২০০৬ সনের ৬ নং আইনের ধারা ১৪ এর সংশোধন।
(৪) ও (৫) এর পরিবর্তে নিমড়বরূপ উপ-ধারা (৪), (৪ক) ও (৫) প্রতিস্থাপিত হইবেঙ যথা:
“(৪) আপিল দাখিলের অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে আপিল কর্তৃপক্ষ উহা নিষ্পত্তি
করিবে।
(৪ক) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত আদেশ
প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন
করিতে পারিবেন এবং আবেদন প্রাপ্তির অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে উহা
নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
(৫) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অনুসারে পরীক্ষায় যদি নমুনা সার বা সারজাতীয় দ্রব্য বা
উহার কাঁচামাল বিনির্দেশ বহির্ভূত অথবা পরিবেশ দূষণকারী বলিয়া প্রমাণিত হয় তাহা
হইলে, আপিলের মেয়াদ অতিপান্ত হইবার পর বা আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে, আপিল
নিষ্পত্তির পর পুনর্বিবেচনার মেয়াদ অতিপান্ত হইবার পর বা পুনর্বিবেচনার আবেদন
করিবার ক্ষেত্রে, উহা নিষ্পত্তির পর, সংশ্লিষ্ট লটের সমুদয় সার বা সারজাতীয় দ্রব্য বা
উহার কাঁচামাল সংশ্লিষ্ট সার উৎপাদনকারী, সংরক্ষণকারী, বিপেতা, বিপণনকারী বা
বিতরণকারী বা যাহার দখলে থাকিবে সেই ব্যক্তিকে সরকার বা সরকার কর্তৃক
ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তপৃ ক্ষের নির্দেশিত পšা’ য় নির্দেশিত সময়ের মধ্যে নিজ খরচে বিনষ্ট
করিতে হইবে।”।
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১, ২০১৮ ১২০৭১
উক্ত আইনের ধারা ২১ এর৬। ২০০৬ সনের ৬ নং আইনে নূতন ধারা ২১ক এর সনিড়ববেশ।
পর নিমড়বরূপ নূতন ধারা ২১ক সনিড়ববেশিত হইবে, যথা:
যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির“২১ক। মিথ্যা মামলা দায়েরের শাস্তি।
ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে এই আইনের অধীন মামলা করিবার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ
কারণ নাই জানিয়াও মামলা দায়ের করেন বা করান তাহা হইলে মামলা দায়েরকারী
ব্যক্তি বা যিনি মামলা দায়ের করাইয়াছেন উক্ত ব্যক্তি দায়েরকৃত মামলার জন্য
নির্ধারিত দ-ের সমপরিমাণ দ-ে দ-িত হইবেন।”।
উক্ত আইনের ধারা ৩২ এর৭। ২০০৬ সনের ৬ নং আইনে নূতন ধারা ৩৩ এর সংযোজন।
পর নিমড়বরূপ নূতন ধারা ৩৩ সংযোজিত হইবে, যথা:
(১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার,“৩৩। ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ।
সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত
একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (অঁঃযবহঃরপ ঊহমষরংয ঞবীঃ) প্রকাশ করিবে।
(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।”।
ড. মোঃ আবদুর রব হাওলাদার
সিনিয়র সচিব।
মোঃ লাল হোসেন, উপপরিচালক, বাংলাদেশ সরকারী মুদ্রণালয়, তেজগাঁও, ঢাকা কর্তকৃ মুদ্রিত।
মোঃ আব্দুল মালেক, উপপরিচালক, বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অফিস তেজগাঁও,
ঢাকা কতৃ
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস